শনিবার ভোর ৫টা ৫০ মিনিটে আনুষ্ঠানিক ফলাফল ঘোষণা করা হয়। ঘোষণা করেন প্রধান নির্বাচন কমিশনার পীরজাদা শহীদুল হারুন। সভাপতি ইলিয়াস কাঞ্চন ১৯১ ও সাধারণ সম্পাদক জায়েদ খাম ১৭৬টি ভোট পেয়ে শিল্পীদের ভাগ্যোন্নয়নের দায়িত্ব পান।
নির্বাচন উপলক্ষ্যে এফডিসি পরিনত হয় তারকাদের মিলনমেলায়। সাধারণ মানুষেরও আগ্রহের কেন্দ্রে চলে আসে এবারের নির্বাচন। তারকাদের একনজর দেখার জন্য এফডিসির প্রধান ফটকে সকাল থেকেই ছিল ভিড়। ভিড় গিয়ে ঠেকে এফডিসির সামনের উড়ালসড়কের কাছে।
দীর্ঘ অপেক্ষা শেষে শেষ রাতে আসে ফলাফল। ১৯১ ভোট পেয়ে সভাপতি নির্বাচিত হন ইলিয়াস কাঞ্চন। প্রতিদ্বন্দী মিশা সওদাগর পান ১৩৮ ভোট। তৃতীয় বারের মত সাধারণ সম্পাদক পদে ১৭৬ ভোট পেয়ে নির্বাচিত হন জায়েদ খান। প্রতিদ্বন্দী নিপুন পেয়েছেন ১৬৩ ভোট।
এছাড়া আন্তর্জাতিক বিষয়ক সম্পাদক পদে জয় চৌধুরী, দপ্তর ও প্রচার সম্পাদক পদে আরমান, সংস্কৃতি ও ক্রীড়া সম্পাদক পদে মামনুন ইসলাম ইমন, কোষাধ্যক্ষ পদে বিজয়ী হন আজাদ খান। কার্যকরী সদস্য পদে নির্বাচিত হন ইলিয়াস-নিপুণ প্যানেল থেকে ফেরদৌস অমিত হাসান, কেয়া, জেসমিন এবং মিশা-জায়েদ প্যানেল থেকে মৌসুমি, অঞ্জনা, রোজিনা, অরুনা বিশ্বাস, আলী রাজ, সুচরিতা, চুন্নুরা।
দুই প্যানেলের এই মিশ্র কমিটি প্রসঙ্গে জায়েদ খান বলেন, পুরনো সাথীদের মিস করবেন। তবে নতুন সহযোগীদের সাথে নিয়েই কাজ করবেন শিল্পীদের জন্য। ইলিয়াস কাঞ্চনও জানান চলচ্চিত্র পরিবারের জন্য কাজ করার কথা।
সব মিলিয়ে হাড্ডাহাড্ডি লড়াইয়ের এই নির্বাচন শেষে নতুন কমিটিকে বরন করে নিতে তৈরি হচ্ছেন শিল্পিরা।
এর আগে শুক্রবার (২৮ জানুয়ারি) সকাল ৯টা ১২মিনিটে এফডিসিতে শিল্পী সমিতির কার্যালয়ে ভোট গ্রহণ শুরু হয়। দিনভর নানা নাটকিয়তা শেষে সন্ধ্যা সাড়ে ছয়টায় ভোটগ্রহন শেষ হয়। টান টান উত্তেজনা থাকলেও শেষ পর্যন্ত সুষ্ঠু ও শান্তিপূর্ণ পরিবেশে নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়।
এবার সমিতির ভোটার ছিল ৪২৮ জন। কিন্তু ভোট দিয়েছেন ৩৬৫ জন। বৈধ ব্যালট ৩৫৫টি, বাতিল হয়েছে ১০টি।
শিল্পী সমিতির নির্বাচনে কমিশনারের দায়িত্ব পালন করছেন পীরজাদা হারুন। অন্য দুই সদস্য হলেন- বিএইচ নিশান ও বজলুর রাশীদ চৌধুরী। আপিল বোর্ডের চেয়ারম্যান করা হয়েছে সোহানুর রহমান সোহানকে। সদস্য মোহাম্মদ হোসেন জেমী ও মোহাম্মদ হোসেন।